গ্রামবাংলার দুর্গাপুজো - Gramer Bonedi Puja - Serampore Sheoraphuli Guptipara Bansberia Jamgram Durga Puja
হুগলির গ্রামবাংলার দুর্গাপুজো - Gramer Bonedi Puja - Serampore Sheoraphuli Guptipara Bansberia Jamgram Puja - Jamidar Barir Puja
শ্রীরামপুর রাজবাড়ির পুজো :
শ্রীরামপুরের দুর্গাপুজো বলতেই প্রথমে বলতে হয় রাজবাড়ির পুজোর কথা।আসলে এটি গোস্বামীদের ঠাকুরবাড়ি।পুরাতন বাড়িও বলে কেউ কেউ।এবছর ৩৪০ বছরে পা রাখলো এই পুজো।নিয়ম নিষ্ঠা করে পুজো হয় এই রাজবাড়িতে।
শ্রীরামপুর বুড়ি দুর্গা :
গোস্বামীদেরই আরেকটি পুজো রাজবাড়ির অনতিদুরেই পালিত হয়।যেটি বুড়ি দুর্গা বলে স্থানীয় দের কাছে অধিক প্রচলিত।
শেওড়াফুলি রাজবাড়ির পুজো :
এই পুজো শুরু করেছিলেন মনোহর রায়।২৯০ বছরের পুরোনো পুজো এখানে।শ্রী শ্রী সর্ব মঙ্গলা মায়ের অষ্টধাতুর মূর্তি পুজো হয় প্রতিনিয়ত।সেই প্রতিষ্ঠিত মন্দিরেই মা অষ্টমঙ্গলার মূর্তিকেই দুর্গাপুজোর সব নিয়ম মেনেই পুজো করা হয়।
এবার চলুন ভিডিওর মাধ্যমে ঘুরে আসি হুগলির প্রাচীন অভিনব বনেদি বাড়ির পুজো থেকে, সাথে জেনে নিই বাড়ির ইতিহাস সহ আরও কিছু অজানা কথা 👇👇
গুপ্তিপাড়ার সেন বাড়ির পুজো :
গুপ্তিপাড়া বলতে মূলত রথের কথাই মনে পড়ে।তবে সার্বজনীন বারোয়ারী পুজো প্রথম শুরু হয়েছিল কিন্তু এই গুপ্তিপাড়াতেই ১২ জন বন্ধুর হাত ধরে। সেই গুপ্তিপাড়াতেই সেন বাড়িতে হয় ৪০০ বছরের পুরোনো কীর্তিচাঁদ সেনের বংশের পুজো। জন্মাষ্টমীতে কাঠামো পুজোর পর থেকে চলে পুজোর সব আচার অনুষ্ঠান।অষ্টমীতে সন্ধিপূজাতে ১০৮ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবাড়ির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।এছাড়াও ১২ বেয়ারার কাঁধে চড়ে মা রওনা হন শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে।
গুপ্তিপাড়ার প্রামাণিক বাড়ির পুজো :
গুপ্তিপাড়ায় পূর্ব সাতগাছিয়া গ্রামের সাহাপাড়ায় ঈশ্বর সমরেন্দ্র নাথ প্রামাণিক মহাশয় নিজের বাড়িতে ২২ পুতুল দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন।তাঁর ছেলেরা বর্তমানে সেই পুজো সসম্মানে বজায় রেখে চলেছেন।
জামগ্রাম নন্দী বাড়ির পুজো :
পান্ডুয়া নিকটবর্তী জামগ্রামে প্রাচীন বনেদি পুজো বলতে নন্দী বাড়ির পুজো ও ঘোষ বাড়ির পুজো।নন্দী বাড়িকেই জামগ্রাম রাজবাড়ী ও বলে অনেকে।বাড়ি সংলগ্ন রাস মন্দির।বাড়ির অন্দরে কুলদেবতা লক্ষী জনার্দনএর মন্দির।২৫০ বছরের পুরোনো দুর্গাপুজো এখানে।দশমীর দিন বাড়ির মেয়েদের ধুনুচি নাচ এবাড়ির বৈশিষ্ট্য।এনাদের আদি বাড়ি ছিল নৈহাটির কেউটিয়া গ্রামে।
জামগ্রাম ঘোষ বাড়ির পুজো :
ঘোষ বাড়ির পুজো প্রায় ৩০০বছরের প্রাচীন।
বাঁশবেড়িয়ার দুর্গাপুজো :
বাঁশবেড়িয়ায় রাজবাড়ির পুজো ছাড়াও প্রাচীন পুজো বলতে কুন্ডু বাড়ি,সাজি বাড়ির পুজো। বাঁশবেড়িয়া রাজবাড়ির পুজো শুরু করেছিলেন নৃসিংহ দেব রায়। বাঁশবেড়িয়া কুন্ডু বাড়িতে দুর্গাপুজো চলে আসছে নয় প্রজন্ম ধরে।এখানে শিব দুর্গা মূর্তিতে পুজো হয়।হর পার্বতী পুত্র কন্যা সহ পূজিত হন।
বাঁশবেড়িয়ার সাজি বাড়ির পুজো :
সাজি মাটির ব্যাবসা ছিল একসময় এপরিবারের।সাধু বাড়ি ও বলেন অনেকে।২৯৩ বছরের প্রাচীন পুজো এখানে। মায়ের মহিষাসুরমর্দিনী রূপ এখানে,লক্ষী সরস্বতী,গণেশ,কার্তিক মায়ের সাথে থাকে না এখানে।মায়ের ষোড়শী মূর্তি এখানে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any query, please let me know.