পোস্টগুলি

2023 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

খেলাত ভবন-পাথুরীঘাটা রাজবাড়ি-Khelat Ghose Bhavan-Pathuriaghata Rajbari-Bonedi Barir Durga Pujo-Pathuriaghata Jamidar Barir Durga Pujo

ছবি
খেলাত ভবন-পাথুরীঘাটা রাজবাড়ি-Khelat Ghose Residence-Pathuriaghata Rajbari-Bonedi Barir Durga Pujo-Pathuriaghata Puja-Jamidar Barir Durga Pujo- Puja Parikrama পাথুরীঘাটা,কলকাতার এক প্রাচীন,ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকা এক নাম। যে জায়গার সাথে জড়িয়ে আছে বহু পরিবারের উত্থান,পতন, বাবুগিরি,কত গুণী মহান মানুষের ঘটনা।  আজও যে বাড়িগুলোর ইঁট কাঠ পাথর ফিসফিস করে বলে ঘোষ,মল্লিক, ঠাকুরদের বৈভবের কথা।সেই পাথুরীঘাটার ধনী সম্ভ্রান্ত এক পরিবার হল ঘোষ পরিবার।এই পরিবারের রামলোচন ঘোষ ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংসের দেওয়ান।সেই সূত্রে প্রচুর অর্থ সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন বলাই বাহুল্য। ৪৬এর পাথুরীঘাটা স্ট্রিটের বাড়ি থেকে ৪৭পাথুরীঘাটা স্ট্রীটে নতুন বাড়ি বানিয়ে উঠে গেলেন নাতি খেলাত চন্দ্র ঘোষ মহাশয়।এই বাড়িই খেলাত ভবন বলে পরিচিত।পাথুরীঘাটা রাজবাড়ি বা রাজবাটি বলতেও এটিই।ওয়ারেন হেস্টিংস ও তার পত্নী বহুবার এসেছেন এই বাড়িতে পুজো দেখতে।পুজোর প্রতিষ্ঠাতা হেস্টিংস স্ত্রীকে বাংলা শেখাতেন।শুধু ওয়ারেন হেস্টিংস কেনো রামকৃষ্ণ দেব থেকে মহাত্মা গান্ধী এককালে সকলের পায়ের ধুলোই পড়েছে এই বাড়িতে।কালী প্রসন্ন সিং

Belur Rashbari Garden House | Rash Yatra | 1 Day Trip | Picnic Spot Near Kolkata | Winter Dayout

ছবি
  Belur Rashbari Garden House | Rash Yatra | 1 Day Trip | Picnic Spot Near Kolkata | Winter Dayout | Radha Krishna Temple রাস পূর্ণিমায় ঘুরে এলাম রাসবাড়ি থেকে। আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ,নীচে বয়ে চলেছে হুগলী নদী,মন্দিরে ঘণ্টার ধ্বনি। চাঁদের আলোর সাথে আজকের রংবেরংয়ের আলো নেমে এসেছে মন্দিরের গা বেয়ে।সেই মুহূর্তে বার বারই তাই মনে হচ্ছিল-  দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া..... রাস দেখতে মানুষ কোথায় না কোথায় যায়,আমাদের হয়তো জানাও নেই বাড়ির কাছেই বেলুড় মঠের পাশেই আছে এই রাসবাড়ি। এটি নির্মাণ করেছিলেন জোড়াসাঁকো দাঁ পরিবারের পূর্ণ চন্দ্র দাঁ মহাশয় বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠার আগেই। নদীর একদম ধারে রাসবাড়ি প্রাঙ্গণে আছে রাধারমণ জিউর নররত্ন মন্দির,সাথে রাসমঞ্চ,নাটমন্দির,আটচলা শিবমন্দির, নহবতখানা, সুসজ্জিত বাগান। প্রতিদিন নিত্য পুজো ছাড়াও রাসে হয় বিশেষ পুজো,নাটমন্দির নামগান, রাসমঞ্চে গোপিনীদের সাথে রাসযাত্রা। রাসকে ঘিরে মেলা চলে ১৫দিন ব্যাপী। একসময় এমন সুন্দর বাজি পোড়ানো হত যা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসতো অগণিত মানুষ। সেই জৌলুস আজ না থাকলেও যেটুকু আছে তাই বা মন্দ কি।গঙ্গার

কলকাতার বনেদি পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো - Kolkata Jagadhatri Puja - Top 10 Kolkata Bonedi Barir Jagadhatri Puja - Bonedi Pujo Parikrama

ছবি
কলকাতার বনেদি পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো - Kolkata Jagadhatri Puja - Top 10 Kolkata Bonedi Barir Jagadhatri Puja - Ananya'r Sathe Bonedi Pujo Parikrama কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা হয়ে আসছে বহু বছর ধরে।জগদ্ধাত্রী পুজো বলতেই  কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরের কথাই সবার প্রথম মনে আসে ঠিকই তবে প্রাণের শহর কলকাতাও কিন্তু এখন পিছিয়ে নেই।বারোয়ারী পুজো হোক বা বনেদি বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো,সংখ্যা নেহাত কম নয়।তবে বনেদি বাড়ির পুজোগুলো আমায় বড় টানে।বনেদি বাড়িগুলোর দুর্গাপুজোতো ঘুরেছি, এবছর সে বাড়িগুলোর জগদ্ধাত্রী পুজো দেখার সৌভাগ্যও হলো।   বটকৃষ্ণ পাল বাড়ির পুজো এই পরিবারের পুজো ১০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন।বর্তমানে দুই শরিকে বিভক্ত দুই বাড়িতেই হয় পুজো।যদিও রীতিনীতি সবই এক দুই শরিকী পুজোর।১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে ৭৭নং বেনিয়াটোলা স্ট্রীটে  বটকৃষ্ণ পাল জমি কিনে বৃহৎ বসত বাড়ি নির্মাণ করেন।বাড়িতে সুরম্য সুন্দর ঠাকুর দালানও তৈরি করেন।এখানেই ১৩০৭ বঙ্গাব্দে( ইং ১৯০০ খ্রিস্টাব্দ) মহাসমারোহে মাতা জগদ্ধাত্রীর পুজো শুরু করেন।  বাহন সিংহের ওপর দু পা মুড়ে বাবু

আড়বালিয়া মাঠের বসু বাটির বনেদি দুর্গাপুজো | Gramer Pujo | Dhanyakuria Arbelia Jamidar Barir Pujo | Arbelia Mather Basu Barir Pujo

ছবি
আড়বালিয়া মাঠের বসু বাটির বনেদি দুর্গাপুজো | Gramer Pujo | Dhanyakuria Arbelia Jamidar Barir Pujo | Arbelia Mather Basu Barir Pujo বাড়ি এবং পুজোর পত্তন :- আড়বালিয়া মাঠের বসু বাটির প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় রামেশ্বর বসু তিনি স্বর্গীয় রাঘবেন্দ্র বসুর জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন ৷ এই রাঘবেন্দ্র বসু আরবালিয়া পুরাতন বসু বাটিতে প্রথম দুর্গাপূজা শুরু করেছিলেন যা প্রায় ৩৭৫ বৎসর অতিক্রান্ত৷এই পূজা পুরাতন বসুবাটির পূজা নামে পরিচিত৷পিতার মৃত্যুর পর রামেশ্বর একান্নবর্তী পরিবার থেকে পৃথক হয়ে আড়বালিয়া চড়ক খোলা সংলগ্ন স্থানে বাটি নির্মাণ করেন এবং পরবর্তীতে নিজ আবাসে দুর্গাপূজা শুরু করেন ১১৮২ বঙ্গাব্দে যা প্রায় ৩০০ বছর অতিক্রান্ত৷এই পূজা অদ্যাপি মাঠের বাড়ি পূজা নামে অভিহিত৷ রামেশ্বর প্রচুর ভূষ্যাধিকারী এবং অত্যন্ত ধর্মনিষ্ঠ ছিলেন৷ তার প্রতিষ্ঠিত এই বসু বাটি তিন মহল্লা বাড়ি এবং পাঁচ খিলানযুক্ত ঠাকুরদালান পরিবেষ্টিত প্রায় ৫২ বিঘা জমির উপর অবস্থিত৷ দুর্গাপূজা ছাড়াও এই বাড়িতে কালী পূজা, সরস্বতী পূজা এবং বারো মাসের (ভাদ্র, কার্তিক, পৌষ ,চৈত্র) লক্ষী পূজাও  অনুষ্ঠিত হয়৷বাড়ির কূল দেবতা নারায়ণের শালগ্রা

গ্রামবাংলার বনেদি দুর্গাপুজো | Bardhaman Gramer Bonedi Puja | Dasghara Guskara Mankar Chakdighi Chongdar Pujo

ছবি
প্রাচীন গ্রামবাংলার বনেদি দুর্গাপুজো | Bardhaman Gramer Bonedi Puja | Dasghara Guskara Mankar Chakdighi Pujo গ্রামবাংলার বনেদি পুজোর প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হলাম আজ। শহরের কোলাহল ছেড়ে গ্রামবাংলার একেবারে নতুন ১০ টি ঐতিহ্যবাহী বনেদি পুজোর সম্ভার রইলো আপনাদের জন্য। সাথে অবশ্যই কিভাবে যাবেন ও সাথে কি কি দেখবেন সহ সব তথ্য রয়েছে নীচের ভিডিও টায়। এর মধ্যে কোথায় কোথায় থাকা যাবে আছে সেই তথ্য ও। আশাকরি যারা এবারে পুজোয় গ্রামের পুজো দেখার পরিকল্পনা করছিলেন তাদের খুব ভালো লাগবে 👇👇 This video will cover new attraction of this year Durga Puja , Bonedi Barir Durga Puja of Burdwan and Hooghly District along with your tour plan means how to go and watch those. We have covered Gramer Durga Puja / Gramer Durga Pujo like - 1) Mankar Biswas Barir Puja ,  2) Mankar Kachari Barir Puja,  3) Kalikapur Rajbarir Puja, 4) Moukhira Durga Puja,  5) Amadpur Chowdhury Barir Durga Puja,  6) Chakdighi Baganbati, 7) Dasghara Biswas Barir Durga Puja, 8) Dasghara Roy Barir Puja, 9) Guska

গ্রামবাংলার দুর্গাপুজো - Gramer Bonedi Puja - Serampore Sheoraphuli Guptipara Bansberia Jamgram Durga Puja

ছবি
হুগলির গ্রামবাংলার দুর্গাপুজো - Gramer Bonedi Puja - Serampore Sheoraphuli Guptipara Bansberia Jamgram Puja - Jamidar Barir Puja শ্রীরামপুর রাজবাড়ির পুজো : শ্রীরামপুরের দুর্গাপুজো বলতেই প্রথমে বলতে হয় রাজবাড়ির পুজোর কথা।আসলে এটি গোস্বামীদের ঠাকুরবাড়ি।পুরাতন বাড়িও বলে কেউ কেউ।এবছর ৩৪০ বছরে পা রাখলো এই পুজো।নিয়ম নিষ্ঠা করে পুজো হয় এই রাজবাড়িতে। শ্রীরামপুর  বুড়ি দুর্গা : গোস্বামীদেরই আরেকটি পুজো রাজবাড়ির অনতিদুরেই পালিত হয়।যেটি বুড়ি দুর্গা বলে স্থানীয় দের কাছে অধিক প্রচলিত। শেওড়াফুলি রাজবাড়ির পুজো : এই পুজো শুরু করেছিলেন মনোহর রায়।২৯০ বছরের পুরোনো পুজো এখানে।শ্রী শ্রী সর্ব মঙ্গলা মায়ের অষ্টধাতুর মূর্তি পুজো হয় প্রতিনিয়ত।সেই প্রতিষ্ঠিত মন্দিরেই মা অষ্টমঙ্গলার মূর্তিকেই দুর্গাপুজোর সব নিয়ম মেনেই পুজো করা হয়। এবার চলুন ভিডিওর মাধ্যমে ঘুরে আসি হুগলির প্রাচীন অভিনব বনেদি বাড়ির পুজো থেকে, সাথে জেনে নিই বাড়ির ইতিহাস সহ আরও কিছু অজানা কথা 👇👇 গুপ্তিপাড়ার সেন বাড়ির পুজো : গুপ্তিপাড়া বলতে মূলত রথের কথাই মনে পড়ে।তবে সার্বজনীন  বারোয়ারী পুজো প্রথম শুরু

Amadpur Heritage Stay | Amadpur Jamidar Bari | বৈঠকখানা আমাদপুর | 1 Day Tour Near Kolkata | Village Durga Puja

ছবি
বৈঠকখানা আমাদপুর বৈচিত্র্যে ভরা আমাদপুর থেকে গত বছরের শেষে ঘুরে এলাম।টেরাকোটার কাজ দেখতে আমরা যারা বিষ্ণুপুর যাই তাদের বলি বর্ধমান জুড়েও ছড়িয়ে আছে অসংখ্য টেরাকোটার মন্দির।বর্ধমান জেলার মেমারির কাছেই এই আমাদপুর,গঞ্জ নয় প্রকৃত অর্থে গ্রাম।মাঠে মাঠে চোখ জুড়ানো ফসল,ধানের গোলা,পুকুর,মন্দির তারই মাঝে চৌধুরীদের বাড়ি।সদর,অন্দর,ঠাকুরবাড়ি,দীঘি নিয়ে চৌধুরীদের বাড়ি। বর্তমান বাস এখানে হলেও আগে ছিলেন বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা।বর্ধমান ও হুগলি জেলার বহু এলাকা মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের থেকে পেয়ে আমাদপুরে এসে বসবাস শুরু করেন।নিজেদের প্রতিরক্ষার্থে গ্রামের চার সীমানায় সাঁওতালদের জায়গা দেন,গড়ে ওঠে সাঁওতালদের গ্রাম।তারা তীরন্দাজিতে তুখর।চৌধুরী উপাধি পান,আসলে তারা সেনশর্মা।উপাধি পান শ্রীকৃষ্ণ সেনশর্মা তবে ইংরেজদের থেকে নয় মুঘলদের থেকে।ইংরেজ সমসাময়িক জমিদারি হলেও তারা কোনোদিনই ইংরেজদের পৃষ্টপোষকতা করেননি বরং পরিবারের বেশ কিছু মানুষ পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহায্যই করেছিলেন। বাড়িটি ৩৭৫ বছরের পুরোনো।সেই বাড়িতেই বর্তমানে ৬টি ঘরে হোমস্টের ব্যাবস্থা।আছে বেলজিয়াম কাঁচ,জয়পুর থে

Iskcon Temple Newtown Kolkata | Places To Visit Near Kolkata | Newtown Iskcon Mandir Like Mayapur | নিউ টাউনে মায়াপুরের ইস্কন মন্দির

ছবি
কোলকাতার নতুন আকর্ষণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ....কৃষ্ণ প্রেম,কৃষ্ণ ভক্তিতে প্লাবিত হওয়া দেশ বিদেশের অগণিত ভক্তদের প্রিয় নাম ইস্কন।আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ISKON) হলো গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদের অনুসারী একটি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।১৯৬৬ সালে নিউইয়র্ক শহরে অভয়াচরনারবিন্দ স্বামী প্রভুপাদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে এ হেন দেশ নেই যেখানে ইস্কনের মন্দির নেই,কোথাও বা আছে একাধিক। ইস্কন বলতেই মায়াপুরের কথা মনে পড়লেও আমাদের কোলকাতা কিন্তু ইস্কনপ্রেমীদের কাছে বিশেষ ভূমিকা রাখে।ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা বলুন বা হরে কৃষ্ণ মুভমেন্টের উদ্যোক্তার জন্ম এই কোলকাতাতেই ১৮৯৬ সালের ১লা সেপ্টেম্বর।৮১ বছর বয়সে ১৯৭৭ সালের ১৪ই  নভেম্বর তার দেহাবসান হয় বৃন্দাবনধামে তাঁর সমাধি মূর্তি রয়েছে।কোলকাতার মিন্টোপার্কের কাছে বা অন্যান্য যায়গায় ইস্কনের মন্দির থাকলেও নবতম ইস্কন মন্দির হলো সাপুর্জিতে।শুধু নতুনই নয় এই ইস্কন হতে চলেছে কোলকাতার সর্ববৃহৎ মন্দির তো বটেই, হয়ে উঠবে মায়াপুরের সমতুল্য।  খোলা মেলা শান্ত পরিবেশে ভোগ প্রসাদের পবিত্রতা হোক বা সন্ধ্যা আ

Netaji Bhavan Kolkata | Netaji Museum | Great Escape of Netaji | Subhas Chandra Bose Kolkata House

ছবি
নেতাজীর মহানিষ্ক্রমণ ১৯৪১ সাল।ব্রিটিশের নজরবন্দী হয়ে কলকাতার এলগিন রোডের বাড়িতে তখন নেতাজী।১৬ই জানুয়ারি,সেই অর্থে দিনটি খুব কম মানুষই মনে রেখেছি।ছুটি নেই,ক্যালেন্ডারে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করা নেই,আলোচনা নেই,তবে কেনই বা মনে রাখবো,তাই না?প্রতি বছর এই দিনটি ফিরে ফিরে আসে,সেই বাড়ি,সেই গাড়ি সবই রয়ে গেছে নেই শুধু মানুষটি।মানুষটি  আর কেউ নন,আমাদের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস।১৯৪১ সালের ১৬ই ও ১৭ই জানুয়ারির মাঝরাতে শেষ বারের মত বাড়ি ছেড়ে,কলকাতাকে ছেড়ে নিজের সিডান গাড়িতে ছদ্মবেশে ব্রিটিশের চোখে ধুলো দিয়ে পৌঁছেছিলেন গোমো রেলওয়ে স্টেশনে,উদ্দেশ্য ছিল যে কোনো ভাবেই জার্মানির বার্লিনে পৌঁছানো।তাঁকে গোমো রেলওয়ে স্টেশন অবধি পৌঁছে দিয়েছিলেন তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র শিশির কুমার বসু নিজে গাড়ি চালিয়ে,যে গাড়িতে নেতাজী বসেছিলেন মহম্মদ জিয়াউদ্দিনের বেশে গাড়ির পিছনের সিটে।  নেতাজীর সেই বাড়ি আজ মিউজিয়াম,নেতাজী ভবন।সেই গাড়িটিও মিউজিয়ামে সুন্দর ভাবে সংরক্ষিত।মিউজিয়ামটি পরিচালনার গুরুভার বহন করে চলছে নেতাজী রিসার্চ ব্যুরো।তিনতলা বাড়ির পুরোটাই মিউজিয়াম।ফ্রিডম মুভমেন্ট হোক বা নেতাজীর জীবনের ঘটনাবল

Roy Villa-RKM Darjeeling-Bhagini Nivedita House-Darjeeling Sightseeing

ছবি
চেনা দার্জিলিঙের অজানা ইতিহাস আজ বলবো শৈলশহর দার্জিলিঙের সেই চারতলা বাড়িটার কথা,রায় ভিলার কথা।ইউরোপিয়ান ক্যাসেলের আদলে তৈরি দার্জিলিঙের পাহাড়ের কোলে লেবং রোডের এই চারতলা বাড়িটির সাথে জড়িয়ে আছে অনেক স্বনামধন্য ব্যাক্তিত্ব,তাদের জীবনের গুল্প।যার মধ্যে অন্যতম ভগিনী নিবেদিতা।পাহাড়ের লোকেরা রায় ভিলা বলতেই নিবেদিতার বাড়ি বোঝে। সত্যিই সিস্টার নিবেদিতার স্মৃতি বিজড়িত রায় ভিলা,যেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন ১৯১১সালের ১৩ ই অক্টোবর ৪৩ বছর বয়সে। বাড়িটির বয়স প্রায় ১১৫ বছর হবে।এই বাড়িটির মালিক ছিলেন দ্বারকানাথ রায়,যিনি সম্পর্কে প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রিন্সিপাল পি.কে.রায়ের দাদা।পরবর্তী সময়ে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু তার বন্ধু দ্বারকানাথ রায়ের থেকে এই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন,গ্রীষ্মকালীন আবাসন হিসাবে।তিনি ও তার স্ত্রী অবলা বসু নিজের হাতে সাজিয়েছিলেন বাড়িটিকে।সিস্টার নিবেদিতার শরীর ক্রমশ খারাপ হতে থাকলে বিজ্ঞানী ও তাঁর পত্নী নিবেদিতাকে দার্জিলিঙের এই রায় ভিলায় এসে থাকার আমন্ত্রণ জানান,পাহাড়ের পরিবেশে তার শরীরের উন্নতি হবে নিশ্চিত সেই আশায়।ভগিনী নিবেদিতা সেই

Rani Rashmoni Ghat Halisahar | Fuchka Gram | Dayouting Near Ganges | Weekend Tours Near Kolkata

ছবি
  এ যেনো অবিকল দক্ষিণেশ্বর মন্দির গঙ্গা নদীর সন্নিহিত খোলামেলা গ্রাম্য পরিবেশে গড়ে তোলা এই মন্দিরের সাথে যুক্ত আছে রাণী রাসমণি দেবীর যোগসূত্র। জড়িয়ে আছে ওনার শৈশব স্মৃতি।এটিই ছিলো ওনার জন্মস্থান। ১৭৯৩ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া সংলগ্ন তৎকালীন কোণা গ্রামে তার জন্ম হয়েছিল। তাঁরই নামানুসারে হালিশহর ও কাঁচরাপাড়ার মাঝামাঝি বাগমোড়ের অনতিদূরে অবস্থিত এই রাণী রাসমণি ঘাট ও মা কালীর মন্দির । এই ঘাটেই ছিল রাসমণি দেবীর নিত্য যাতায়াত ও স্নান। মন্দির লাগোয়া আছে আরো কয়েকটি শিব মন্দির ও বেলুড় মঠের আদলের আরো একটি মন্দির।  ১ লা জানুয়ারি কল্পতরু মেলায় এখানে হাজির হন হাজার হাজার মানুষ। মন্দিরে নিত্য পুজো , সন্ধ্যারতি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া আছে দুপুরে ভোগ প্রসাদের সব ব্যাবস্থা।  এর সাথে উপরি পাওনা থাকছে গঙ্গাবক্ষে নৌকায় ভ্রমন ও ফেরার পথে ফুচকা গ্রাম ঘুরে দেখা। ফুচকা প্রেমীদের জন্য এর চেয়ে সুখবর কি বা হতে পারে। ফুচকার যে এতো রকমের প্রকারভেদ হতে পারে তা এখানে না এলে আপনি জানতেও পারবেন না। যেমন ধরুন চিকেন, চিংড়ি, মাছ, আইসক্রিম, চকোলেট,দই বা মাটন ফুচকা। অবাক লাগছে অবশ্যই। এটুকু বল

Chandni Jaltungi Burdwan | Budget Village Resort Near Kolkata | Weekend Destination | Cheap Tour

ছবি
আমরা বেড়াতে ভালোবাসি। এতদিনে যারা আমাকে চিনেছেন সেটা বুঝেই গেছেন নিশ্চই। আর সেই বেড়ানোয় যদি থাকে ইতিহাসের ছোঁয়া তাহলে সেই খুশির মাত্রা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কৌশিক ছবি তুলতে আর আমি ইতিহাস খুঁজতে মাঝে মাঝেই বেরিয়ে পড়ি এদিক ওদিক। ছবিগুলো দেখে ত্রিপুরার নীর মহল বা রাজস্থানের কথা মনে হচ্ছে নিশ্চই! তবে এবার বেশি দূরে নয় ঘুরে এলাম পূর্ব বর্ধমানের দিগনগর গ্রাম থেকে ওনাদের আমন্ত্রণে নতুন এই জায়গাটিকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। বর্ধমান মানেই ইতিহাস ছড়িয়ে ছিটিয়ে। আর এই ইতিহাস রচনা করেছিলেন কীর্তিচাঁদ রায়।জগৎরামের মৃত্যুর পর তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র কীর্তিচাঁদ রায় উত্তরাধিকার সূত্রে বর্ধমানের জমিদারি লাভ করেন।সাহসী ও কূটবুদ্ধি সম্পন্ন কীর্তি চাঁদের সঙ্গে মুর্শিদকুলী খাঁরও বিশেষ সৌহার্দ্য ছিল। পিতার মৃত্যুর প্রায় এক বছরের মধ্যেই সম্রাট ঔরঙ্গজেবের দেওয়া অস্থায়ী সনদ অনুযায়ী তিনি ছিলেন ৪১ মহলের জমিদার ও চৌধুরাই খেতাব প্রাপ্ত। সিন্ধপ্রদেশের রাজকন্যা রাজরাজেশ্বরী দেবীর সাথে কীর্তিচাঁদের বিবাহ হয়।রাণীমা বঙ্গ দেশে আসার পর তাঁর সিন্ধপ্রদেশের সাথে কোনোকিছুই এ বঙ্গের মিল পেতেন না।মনমরা রাণীকে খুশ

Popular Posts

Gobardanga Prasannamoyee Kali Mandir-Gobardanga Kalibari

Chatu Babu Latu Babur Bari - Bonedi Barir Durga Puja

Top 10 Rajbari near Kolkata-Zamindar Houses in Bengal-Heritage Home Stay-Dayout Plan-Weekend Tour

চকদীঘি বাগানবাটি | Chakdighi Baganbati | Chakdighi Rajbari | Day Tour | Shooting Locations