Gobardanga Prasannamoyee Kali Mandir-Gobardanga Kalibari
১৮২২ সালে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়,পুজো তারও আগে থেকে হয়।মন্দিরের কাজ খেলারাম শুরু করলেও শেষ করে যেতে পারেন নি,শেষ করেন কালীপ্রসন্ন।কালীপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।১৮২২ সালের ১১ ই এপ্রিল বর্তমান কালীবাড়ি উদ্বোধন করেন জমিদার কালীপ্রসন্ন। প্রসন্নময়ী মন্দিরের নাম অনুযায়ী প্রতিটি বংশের পুরুষের নামে প্রসন্ন কথাটি যুক্ত থাকে।
কালীপুজোর দিন আগে হয় শ্যামাপূজা। বিশেষ বৈশিষ্ট্য এখানের বলিতেও। বলি দেয়া হয় পাঁচ পোয়া চিনি ও এক পোয়া মধু। প্রসন্নময়ীকে পুজো দেবার পরই শুরু হয় মা দূর্গার আরাধনা। ১২ টি শিব মন্দির নিয়ে গড়ে উঠেছে এই কালীমন্দির।রাস্তার একদম ওপরে জমিদার বাড়ির উল্টোদিকে দক্ষিন মুখ করে দাঁড়িয়ে এই মন্দির।গর্ভ মন্দিরে বেদি শ্বেত পাথরের। চিরাচরিত প্রথায় শায়িত মহাদেব শ্বেত পাথরের, তারই বুকের ওপর দাঁড়িয়ে কষ্টিপাথরের মা দক্ষিণা কালী।লম্বায় আড়াই ফুটের কাছাকাছি। সোনা রূপার অলঙ্কারে সজ্জিত মা। মাথায় সোনার জলে রুপোর মুকুট মায়ের রূপকে আরো মোহময়ী করে তুলেছে। হাতের খর্গটিও রুপোর। বসন পরিহিতা ত্রিনয়নীদেবী চতুর্ভুজা। বড় বড় টানা টানা চোখ।এ ছাড়াও গর্ভগৃহে আছে কয়েকটি নারায়ণ শিলা সহ শ্বেতপাথরের গোপাল বিগ্রহ। নিত্য পুজো হয় সারাবছর।
গোবরডাঙ্গা বাজার ছাড়িয়ে এই কালীবাড়ি এলাকা।সারাবছর এখানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকেভক্তর সমাগম হয়।তবে কালীপুজোর দিন ভিড় হয় অনেক বেশি।সারারাত ভিড় থাকে মন্দিরে।জাগ্রত মা,লোকের বিশ্বাস মায়ের কাছে মানত করলে মা হতাশ করেন না।
মন্দির খোলার সময় :- প্রতিদিন মন্দির খোলা হয় সকাল ৬ টায়, বন্ধ হয় বেলা ১২ টায় আবার বিকেলে ৫ টায় মন্দির খুলে সন্ধ্যাহ্নিক ও সন্ধ্যারতি হয়ে মন্দির বন্ধ হয় রাত সাতটায়। প্রতিদিনের পুজো ছাড়াও ফলহারিণী কালীপুজো, দ্বিপান্বিতা অমাবস্যা, রটন্তী কালী পুজো বা পৌষ কালী পুজোয় বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা থাকে।
জমিদার বাড়ির বংশধরদের কথায়, এখানকার মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরেরও ৩৩ বছর আগে হয়েছে। রাণী রাসমণি দেবী একবার এই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এসেছিলেন প্রসন্নময়ী মায়ের মন্দিরে।
মুখোাধ্যায় পরিবারের পূর্বপুরুষরা ছিলেন যশোরের বাসিন্দা।পরে বংশধররা গোবরডাঙায় চলে আসেন।পুত্র শ্যামরাম মুখোপাধ্যায় গোবরডাঙার ইছাপুরের চৌধুরী বাড়ির জামাই ছিলেন। এনার পুত্র খেলারাম মুখোপাধ্যায় পুজো শুরু করেন।ইংরেজ শাসনকালে ২৪ পরগনার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন হিঙ্কল সাহেব।সাহেবের কাজের তদারকি করতেন খেলারাম। নিখুঁত কাজে ও নিষ্ঠায় খুশি হয়ে তাকে দান করেন বেশ কিছু জমি এই ইংরেজ সাহেব।
সেখানেই তৈরি হয় গোবরডাঙ্গা জমিদারবাড়ি। 👈👈
https://goo.gl/maps/nia5MS6TX7XGBNZi6
তথ্য সূত্র :- গোবরডাঙ্গা-খাটুরার ইতিহাস ও কুশদহ প্রসঙ্গ ( ড. নিরঞ্জন বন্দোপাধ্যায় ) ও স্থানীয় অধিবাসীবৃন্দ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any query, please let me know.