পোস্টগুলি

2020 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

St. Bartholomew's Cathedral-Barrackpore

ছবি
St. Bartholomew's Cathedral-Barrackpore  Cathedral চেনা ব্যান্ডেল চার্চ বা সেন্ট পল্ ক্যাথিড্রাল নয়।এটি ব্যারাকপুরের St.   Bartholomew's Cathedral ।এর শান্ত স্নিগ্ধ  গাছগাছালি ময় পরিবেশ মন ছুঁয়ে গেছিলো আমার।চেনা কোলাহল পূর্ণ ব্যস্ত ব্যারাকপুরের অন্য প্রান্ত যেনো।ব্রিটিশ ব্যারাক।নিয়ে যায় সেই ব্রিটিশ পিরিয়ডে। ব্যারাকপুরই হলো ব্রিটিশ পিরিয়ডের প্রথম ব্যারাক,যা ১৭৭২ সালে প্রথম স্থাপিত হয়।তাইতো ব্যারাকপুর।তাই ব্রিটিশ পিরিয়ডে ব্যারাকপুরের আলাদা মর্যাদাই ছিল।ক্যান্টনমেন্ট এলাকা গড়ে উঠেছিল অফিসসহ উচ্চপদস্থ ব্রিটিশ কর্মচারীদের গথিক স্টাইলের বাগান বেষ্টিত বাংলো, যার পাশে বয়ে যেত হুগলী নদী,স্কুল।তখনই বাসস্থানের সাথে প্রয়োজন হয়ে পড়ল প্রার্থনা গৃহের।সেই উদ্দেশ্যেই এই ক্যাথিড্রাল নির্মাণ করা হয় ১৮৪৭ সালে,গথিক স্থাপত্যের কারুকার্যে। নিয়মিত উপাসনা গৃহে শুরু হল গোরা সাহেবদের আনাগোনা। এই চার্চ টি  Garrison Church  নামেও পরিচিত। ব্রিটেনের বহু ক্যাথিড্রাল এর সাথে এই ক্যাথিড্রাল এর বেশ মিল পাওয়া যায়।হওয়ারই তো কথা,দুটোরই নির্মাতা যেহেতু ব্রিটিশ। সেই সময় শুধু ইংরেজদের আনাগোনা থাকলে

Tower Bridge-London Icon

ছবি
Tower Bridge-London Icon-London Bridge টাওয়ার ব্রীজ,টাওয়ার অফ লন্ডনের একদম কাছেই থেমস নদীর দুপ্রান্তের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনকারী একটি ব্রীজ।লন্ডনের প্রধান দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম এটি।মূল আকর্ষণও বলতে পারেন।অজস্র সিনেমায় লন্ডনকে চেনাতে ওপর থেকে যে ভিউ আমাদের সামনে তুলে ধরা হয় (Bird's Eye View) সেখানে এই সেতু স্বমহিমায় মধ্যমণি হয়ে জ্বল জ্বল করে।এককথায় লন্ডনের আইকন।তবে শুধু এটুকুই নয়।এরকম নদীর ওপর গড়ে ওঠা ব্রিজ ত রয়েছে বহু দেশেই,কিন্তু ব্রীজ মাঝখান থেকে খুলে ওপরে উঠে যাওয়ার বিশেষত্ব আছে শুধু টাওয়ার ব্রীজ,লন্ডনের ই। দুপ্রান্তে আছে সদৃশ দুটি ব্রীজ টাওয়ার,যেগুলো আসলে "The Tower Bridge Exhibition Display House" .(যেখানে দেখতে পাওয়া যাবে বিভিন্ন পুরোনো ছবিসহ,মডেল,আসল স্টিম ইঞ্জিন)। এই ব্রিজের তলা দিয়ে অনায়াসেই বোট,রিভার ক্রুজ চলাচল করে।কিন্তু সেই জলযানের উচ্চতা যদি ৯মিটার(৩০ ফুটের বেশি লম্বা হয়)তবে তা আর ব্রিজের তলা দিয়ে যেতে পারে না,তখন ব্রীজ মাঝখান দিয়ে খুলে ওপরে উঠে সেই জলযানকে প্রবেশের পথ করে দেয়।আর ঠিক সেই মুহূর্তের জন্যব্রিজের ওপরের লকগেট দিয়ে দু

Mahishadal Rajbari Old and Gopaljew Temple Haldia

ছবি
Mahishadal Rajbari  Old -Gopaljew Temple Haldia-Mahishadal Dayout জনার্দন  উপাধ্যায়ই হলেন মহিষাদল রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা। এই রাজবংশ তিনটি রাজপ্রাসাদ তৈরি করেছিলেন। যার প্রথমটি অবলুপ্ত।  দ্বিতীয়টি রঙ্গীবসান প্যালেস, যা নির্মাণ করা হয় নবাব আমলে। সামনে সাম্রাজ্যের প্রতীক দুটি সিংহ বিরাজ করায় এই প্রাসাদকে সিংহিদুয়ার প্যালেসও বলা হয়। আর তৃতীয়টি হলো আমরা যাকে   মহিষাদল  রাজবাড়ি   বলতে চিনি সেই ফুলবাগ প্যালেস। Watch full video of this place with detailed information - ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় আনুমানিক প্রায় ১৫৫৭ খ্রিস্টাব্দে উত্তরপ্রদেশ থেকে জনার্দন উপাধ্যায় জলপথে ব্যাবসাবাণিজ্যের তাগিদে মেদিনীপুরের গেওঁখালিতে এসে পৌঁছান। আজকের গেওখালি তখন ছিল জীবনখালি।এর পূর্বে তিনি ছিলেন আঁকবর মুঘল সম্রাট আকবরের সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মচারী।সেই  সূত্রে অর্থবান ও বিচক্ষণ ছিলেন তিনি।তৎকালীন মহিষাদলের জমিদার মতান্তরে রাজা ছিলেন কল্যাণ রায়চৌধুরী। কল্যাণ রায়চৌধুরী ছিলেন তমলুক রাজপরিবারের বীরনারায়ণ রায় চৌধুরীর বংশধর।জমিদার কল্যাণ রায়চৌধুরী নবাব সরকারের কাছে কর জমা দিতে না পারায় ত

Mahishadal Rajbari-Royal Heritage Stay

ছবি
Mahishadal Rajbari-Royal Heritage Stay-Food-Tariff-Mahishadal Dayout Plan মহিষাদল রাজবাড়ি : জনার্দন  উপাধ্যায় হলেন মহিষাদল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। এই রাজবংশ তিনটি রাজপ্রাসাদ তৈরি করেছিলেন।যার প্রথমটি অবলুপ্ত। দ্বিতীয়টি রঙ্গীবসান প্যালেস, যা নির্মাণ করা হয় নবাব আমলে। সামনে সাম্রাজ্যের প্রতীক দুটি সিংহ বিরাজ করায় এই প্রাসাদকে সিংহদুয়ার প্যালেসও বলা হয়। আর তৃতীয়টি হলো আমরা যাকে  মহিষাদল  রাজবাড়ি বলতে চিনি সেই ফুলবাগ প্যালেস।যেটি নির্মাণ করা হয় সতীপ্রসাদ গর্গের নিজস্ব পরিকল্পনায় ইংরেজ আমলে, তারই রাজত্বকালে।রাজা সতীপ্রাসাদ গর্গ ইংরেজ সরকারের থেকে রাজা বাহাদুর খেতাব পান। রাজবাড়ির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে তার মূর্তি আজও বর্তমান। এছাড়াও আছে গ্রীষ্মকালীন আবাসের জন্য লালকুঠি,যেটি বর্তমানে ফুলবাগ পালেসেরই পিছনের অংশে বর্তমান।ফুলবাগ প্যালেস,যথার্থ নাম যার।বাগানে ফুল ফুটলে তার যে শোভা,বিশাল জলের পরিখাবেষ্টিত সামনে উন্মুক্ত প্রান্তর শোভিত এই মহিষাদল রাজবাড়ি যেনো সাদা  সোনালীর একটি প্রস্ফুটিত ফুল।তাই কি ফুলবাগ!স্বয়ং সত্যজিৎ রায় যে বাড়ির প্রেমে পড়েছেন,আমরা তো পড়বই,একবার নয়,বার বার। W

Goyna Bori-Origin-History-Bengal Food Art

ছবি
Goyna Bori-Origin-History-Bengal Food Art-Mahishadal Rajbari কিছুদিন আগে ঘুরে এলাম পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থেকে।আর পূর্ব মেদিনীপুর মানেই তো এই  গয়না বা নকশাবড়ির উৎস  বা জন্মস্থল।সেই প্রাচীন কাল থেকেই এখানকার মহিলারা নিপুণ হাতে সূক্ষ্ম নকশায় হালকা শীতে দেন এই বড়ি,তারপর কৌটো বন্দী করে রাখেন সারাবছর।এটাই  তাদের পরম্পরা,ঐতিহ্য।যা তারা বয়ে নিয়ে চলেছেন সগৌরবে বংশানুক্রমে।অতিথি আপ্যায়নে,আত্মীয়বন্ধুর বাড়িতে পাঠানো বা নিত্য প্রয়োজনে ব্যাবহার করেন এই নজরকারা বড়ি।গরম ভাতে প্রথম  পাতে এমন দৃষ্টিনন্দন বড়ি দেখে দ্বন্দ্ব হতেই পারে যে শুধু গয়নার বাক্সে রাখার জন্যই  নাকি গয়না বড়ি খাওয়াও যায় কিনা।যদিও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর উল্টো কথাই বলেছিলেন। বিশ্বকবির মতে ,গয়না বড়ি শুধু দেখার জন্য,খাওয়ার জন্য নয়। মেদিনীপুরের ঐতিহ্য এই বড়ি,হস্তশিল্পের ও কুটিরশিল্পের চরম নিদর্শনও বটে।স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর,নন্দলাল  বসুও ছিলেন এর রূপ ও গুনমুগ্ধ। Watch full video of Mahishadal Palace here with detailed history :   আমার এক পিসির শ্বশুরবাড়ি ছিল তমলুক।সেই সুবাদে রূপস

Sarat Chandra Chattopadhyay's House-Sarat Kuthi-Deulti

ছবি
Sarat Chandra Chattopadhyay's House-Sarat Kuthi-Deulti শরৎকুঠি - ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত শেষ জীবনের আশ্রয়স্থল,তার ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের দর্পণ। কর্মসূত্রে হোক বা ব্যাক্তিগত কারণ, বাসা ছিল তাঁর অনেক ও নানান জায়গায় ছড়িয়ে।জন্মের পর দেবানন্দপুর,ভাগলপুর,রেঙ্গুন, বার্মা বা শিবপুরের ভাড়া বাড়ি।নিজের বাড়ি কিন্তু এটাই। যে কুটিরের প্রতিটি কোণায় লেগে রয়েছে তার স্পর্শ,আবেগ বিজড়িত মুহূর্ত,হৃদয়স্পর্শী সব লেখার সৃষ্টি।পাশেই বয়ে চলেছে রূপনারায়ণ আদি অনন্ত।মেজদিদি,ললিতা, চন্দ্রমুখী এই সব চরিত্রের রচয়িতার টানেই একদিন সকালে পৌঁছে গেছিলাম তাই সামতাগ্রামে।দেউলটির খুব কাছে।২০০৭ সাল থেকে এটি হেরিটেজ কমিশনের ঐতিহ্য ভবন হিসাবে স্থান পেয়েছে। তাঁর স্মৃতি বিজড়িত  ব্যাবহৃত জিনিস দিয়ে সাজিয়ে বাড়িটি বর্তমানে সংগ্রহশালা হিসাবে সংরক্ষিত।  You may also visit : "আল্লা,আমাকে যত খুশি সাজা দিয়ো,কিন্তু মহেশ আমার তেষ্টা নিয়ে মরেছে,তার চরে খাবার এতটুকু জমি কেউ রাখেনি।যে তোমার দেওয়া মাঠের ঘাস, ত

Humayun's Tomb-Bega Begum-UNESCO World Heritage Site

ছবি
Humayun's Tomb-Bega Begum-UNESCO World Heritage Site-Places to visit in Delhi তাজমহলকে যদি আমরা ভালোবাসার নিদর্শন বলে আখ্যা দি,তবে হুমায়ুনের এই সমাধিটি কিন্তু সেই আখ্যা পেতে পারে অনায়াসেই।সব ভালোবাসা যদিও সমান ভাবে প্রচারের আলোয় আসে না। হুমায়ুন পত্নী স্বামীর মৃত্যুর পরে তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই সমাধি তৈরি করিয়েছিলেন  দিল্লিতেই, স্বামীকে ইতিহাসের পাতায় অমর করে রাখার ইচ্ছায়। তিনি দেখে না যেতে পারলেও তার সে ইচ্ছা পূর্ণ হয়েছিল,বর্তমানে এটি UNESCO WORLD Heritage Site বলে পরিগণিত।২৪.০৪ হেক্টর জমি নিয়ে তৈরী, যা শুধু দেশের মধ্যে না সারা বিশ্বের এটি  অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থল।ইতিহাসের সন ও তারিখ বলে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার পত্নীর  প্রতি ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ তাজমহল গড়েছিলেন ঠিকই কিন্তু সেটা তৈরির মূল ধারনায় ছিল হুমায়ুন টোম্ব,যা প্রায় ৬০ বছর আগে তৈরি। দ্বিতীয় মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যুর ৯ বছর পর ১৫৬৫ সালে তার স্ত্রী বেগা বেগম (পরবর্তীতে হাজী বেগম) মনস্থির করেন তিনি সমাধি সৌধ বানাবেন ও সেই অনুযায়ী ১৫৭০ সালে তৈরি হলো  দিল্লিতেই  চারবাগ (চারটে বাগান) সমন্বিত হুমায়ুনের সমাধিস্

Popular Posts

Gobardanga Prasannamoyee Kali Mandir-Gobardanga Kalibari

Chatu Babu Latu Babur Bari - Bonedi Barir Durga Puja

Top 10 Rajbari near Kolkata-Zamindar Houses in Bengal-Heritage Home Stay-Dayout Plan-Weekend Tour

চকদীঘি বাগানবাটি | Chakdighi Baganbati | Chakdighi Rajbari | Day Tour | Shooting Locations