Flag Staff House-Raj Bhavan-Barrackpore

Flag Staff House-Raj Bhavan-Barrackpore
আমাদের চেনা, আধুনিক ব্যারাকপুরের আড়ালেও আর একটা ব্যারাকপুর আছে আজও যেখানে ইতিহাস কথা বলে।সেই ব্রিটিশরাজ আজ হয়ত নেই,নেই সেই ব্যারাকও কিন্তু স্থাপত্যের নিদর্শন তো আজও সেই অতীতের সাক্ষী হয়ে থেকে গেছে।সুন্দর ক্লাসিক এই ম্যানসনটি ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস বলে পরিচিত ছিল।ব্রিটিশ পিরিয়ডে এটি ছিল গভর্নর জেনারেলের প্রাইভেট সেক্রেটারির বাসভবন।স্বাধীনতা পরবর্তীতে এই ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউসটিকে স্টেট গভর্নমেন্টকে হস্তান্তরিত করা হয় ও বর্তমানে এটি গভর্নরের ব্যারাকপুরের বাসভবন।বাড়িটির একেবারে গা লাগোয়া গঙ্গা বয়ে চলেছে, গাছগাছালি পরিপূর্ণ পরিবেশ, পাখির কলকাকলি,গঙ্গার উন্মুক্ত বাতাস ভরে তুলেছে এই বাড়ির পরিবেশ।
শুধু গভর্নরের হাউস ছাড়াও এই বাড়িটির আরও একটি মাহাত্ম্য আছে,এই বাড়িটিতে রয়েছে ১২টি স্ট্যাচু,যার ১১টি ব্রোঞ্জের ও ১টি মার্বেলের।এক কথায়, যে স্ট্যাচুগুলোর ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম।১৯৬৯ সালে কলকাতার বিভিন্ন স্থান থেকে এই স্ট্যাচুগুলি নিয়ে এসে বাড়ির পিছনে বাগান চত্বরে বসানো হয়েছিল।লর্ড কার্জন থেকে শুরু করে লর্ড ক্যানিং,লর্ড মিন্টো,লর্ড মায়ো,লর্ড রিপন,নেপিয়ার,স্যার লওরান্স,কিং জর্জ V এর মূর্তি ছড়িয়ে আছে।কেউ বা জামার কলার তুলে গাম বুট পরে ঘোড়ায় চেপে তো কেউ বা সুদীর্ঘ চেহারায় স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে।
Related Posts : Barrackpore Annapurna Mandir, St. Bartholomew's Cathedral Barrackpore
বাড়িটি তৈরি হয়েছিল ১৮২৮সালে,যখন ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট ছিল ব্রিটিশদের সাপ্তাহিক ছুটি কাটানোর জায়গা।প্রথমবার ওয়েলেসলি তখন ব্যারাকপুর আসেন, ব্যারাকপুর পার্কের গঙ্গার বাতাস তাকে মুগ্ধ করেছিল,মনে করিয়েছিল ইংল্যান্ডের কান্ট্রি সাইডের কথা,তারপরই গর্ভনর জেনারেলের বাসস্থান বানাতে শুরু করেছিলেন।সুন্দর পরিচর্যার এই বাগানে ঘুরে বেড়ানোর সময় এটাই মনে হচ্ছিল এই স্ট্যাচুগুলো আজও অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে আছে ঝড় জল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে। আর স্বাধীন ভারতেও নিজেদের সৃষ্ট স্থাপত্য পাহাড়া দিচ্ছে।
লর্ড কার্জনের মূর্তিটি একসময় ছিল কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের উত্তরদিকে, যেখানে এখন দাঁড়িয়ে আছে ঋষি অরবিন্দর মূর্তি।বাড়ির পিছনে বাগানের শেষ প্রান্তে গাছের আড়ালে রয়েছে Cenotaph বা স্মৃতিস্তম্ভ,যা Temple of Fame নামেও পরিচিত।১৮১০ ও ১৮১১ সালে মরিশাস ও জাভার যুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ সামরিক অফিসারদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তৎকালীন গভর্নর জেনারেল মিন্টো ১৮১৩ সালে এই স্মৃতি স্তম্ভটি নির্মাণ করেন।এই স্মৃতি স্তম্ভের ঠিক সম্মুখভাগে প্রবেশপথের সিঁড়িরর ওপর স্থাপিত সম্রাট পঞ্চম জর্জের মূর্তি,যা এক সময় ছিল স্ট্যান্ড রোডের গোল চত্বরে,যেখানে এখন স্থাপিত হয়েছে বঙ্কিমচন্দ্রের মূর্তি।
বি:দ্র : এটি পাবলিক পর্যটন কেন্দ্র নয়।বিনা অনুমতিতে প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ।
Apurbo...
উত্তরমুছুন