পোস্টগুলি

Amadpur Heritage Stay | Amadpur Jamidar Bari | বৈঠকখানা আমাদপুর | 1 Day Tour Near Kolkata | Village Durga Puja

ছবি
বৈঠকখানা আমাদপুর বৈচিত্র্যে ভরা আমাদপুর থেকে গত বছরের শেষে ঘুরে এলাম।টেরাকোটার কাজ দেখতে আমরা যারা বিষ্ণুপুর যাই তাদের বলি বর্ধমান জুড়েও ছড়িয়ে আছে অসংখ্য টেরাকোটার মন্দির।বর্ধমান জেলার মেমারির কাছেই এই আমাদপুর,গঞ্জ নয় প্রকৃত অর্থে গ্রাম।মাঠে মাঠে চোখ জুড়ানো ফসল,ধানের গোলা,পুকুর,মন্দির তারই মাঝে চৌধুরীদের বাড়ি।সদর,অন্দর,ঠাকুরবাড়ি,দীঘি নিয়ে চৌধুরীদের বাড়ি। বর্তমান বাস এখানে হলেও আগে ছিলেন বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা।বর্ধমান ও হুগলি জেলার বহু এলাকা মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের থেকে পেয়ে আমাদপুরে এসে বসবাস শুরু করেন।নিজেদের প্রতিরক্ষার্থে গ্রামের চার সীমানায় সাঁওতালদের জায়গা দেন,গড়ে ওঠে সাঁওতালদের গ্রাম।তারা তীরন্দাজিতে তুখর।চৌধুরী উপাধি পান,আসলে তারা সেনশর্মা।উপাধি পান শ্রীকৃষ্ণ সেনশর্মা তবে ইংরেজদের থেকে নয় মুঘলদের থেকে।ইংরেজ সমসাময়িক জমিদারি হলেও তারা কোনোদিনই ইংরেজদের পৃষ্টপোষকতা করেননি বরং পরিবারের বেশ কিছু মানুষ পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহায্যই করেছিলেন। বাড়িটি ৩৭৫ বছরের পুরোনো।সেই বাড়িতেই বর্তমানে ৬টি ঘরে হোমস্টের ব্যাবস্থা।আছে বেলজিয়াম কাঁচ,জয়পুর থেকে আনা ঝ

Iskcon Temple Newtown Kolkata | Places To Visit Near Kolkata | Newtown Iskcon Mandir Like Mayapur | নিউ টাউনে মায়াপুরের ইস্কন মন্দির

ছবি
কোলকাতার নতুন আকর্ষণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ....কৃষ্ণ প্রেম,কৃষ্ণ ভক্তিতে প্লাবিত হওয়া দেশ বিদেশের অগণিত ভক্তদের প্রিয় নাম ইস্কন।আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ISKON) হলো গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদের অনুসারী একটি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।১৯৬৬ সালে নিউইয়র্ক শহরে অভয়াচরনারবিন্দ স্বামী প্রভুপাদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে এ হেন দেশ নেই যেখানে ইস্কনের মন্দির নেই,কোথাও বা আছে একাধিক। ইস্কন বলতেই মায়াপুরের কথা মনে পড়লেও আমাদের কোলকাতা কিন্তু ইস্কনপ্রেমীদের কাছে বিশেষ ভূমিকা রাখে।ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা বলুন বা হরে কৃষ্ণ মুভমেন্টের উদ্যোক্তার জন্ম এই কোলকাতাতেই ১৮৯৬ সালের ১লা সেপ্টেম্বর।৮১ বছর বয়সে ১৯৭৭ সালের ১৪ই  নভেম্বর তার দেহাবসান হয় বৃন্দাবনধামে তাঁর সমাধি মূর্তি রয়েছে।কোলকাতার মিন্টোপার্কের কাছে বা অন্যান্য যায়গায় ইস্কনের মন্দির থাকলেও নবতম ইস্কন মন্দির হলো সাপুর্জিতে।শুধু নতুনই নয় এই ইস্কন হতে চলেছে কোলকাতার সর্ববৃহৎ মন্দির তো বটেই, হয়ে উঠবে মায়াপুরের সমতুল্য।  খোলা মেলা শান্ত পরিবেশে ভোগ প্রসাদের পবিত্রতা হোক বা সন্ধ্যা আরতি সব ক

Netaji Bhavan Kolkata | Netaji Museum | Great Escape of Netaji | Subhas Chandra Bose Kolkata House

ছবি
নেতাজীর মহানিষ্ক্রমণ ১৯৪১ সাল।ব্রিটিশের নজরবন্দী হয়ে কলকাতার এলগিন রোডের বাড়িতে তখন নেতাজী।১৬ই জানুয়ারি,সেই অর্থে দিনটি খুব কম মানুষই মনে রেখেছি।ছুটি নেই,ক্যালেন্ডারে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করা নেই,আলোচনা নেই,তবে কেনই বা মনে রাখবো,তাই না?প্রতি বছর এই দিনটি ফিরে ফিরে আসে,সেই বাড়ি,সেই গাড়ি সবই রয়ে গেছে নেই শুধু মানুষটি।মানুষটি  আর কেউ নন,আমাদের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস।১৯৪১ সালের ১৬ই ও ১৭ই জানুয়ারির মাঝরাতে শেষ বারের মত বাড়ি ছেড়ে,কলকাতাকে ছেড়ে নিজের সিডান গাড়িতে ছদ্মবেশে ব্রিটিশের চোখে ধুলো দিয়ে পৌঁছেছিলেন গোমো রেলওয়ে স্টেশনে,উদ্দেশ্য ছিল যে কোনো ভাবেই জার্মানির বার্লিনে পৌঁছানো।তাঁকে গোমো রেলওয়ে স্টেশন অবধি পৌঁছে দিয়েছিলেন তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র শিশির কুমার বসু নিজে গাড়ি চালিয়ে,যে গাড়িতে নেতাজী বসেছিলেন মহম্মদ জিয়াউদ্দিনের বেশে গাড়ির পিছনের সিটে।  নেতাজীর সেই বাড়ি আজ মিউজিয়াম,নেতাজী ভবন।সেই গাড়িটিও মিউজিয়ামে সুন্দর ভাবে সংরক্ষিত।মিউজিয়ামটি পরিচালনার গুরুভার বহন করে চলছে নেতাজী রিসার্চ ব্যুরো।তিনতলা বাড়ির পুরোটাই মিউজিয়াম।ফ্রিডম মুভমেন্ট হোক বা নেতাজীর জীবনের ঘটনাবল

Roy Villa-RKM Darjeeling-Bhagini Nivedita House-Darjeeling Sightseeing

ছবি
চেনা দার্জিলিঙের অজানা ইতিহাস আজ বলবো শৈলশহর দার্জিলিঙের সেই চারতলা বাড়িটার কথা,রায় ভিলার কথা।ইউরোপিয়ান ক্যাসেলের আদলে তৈরি দার্জিলিঙের পাহাড়ের কোলে লেবং রোডের এই চারতলা বাড়িটির সাথে জড়িয়ে আছে অনেক স্বনামধন্য ব্যাক্তিত্ব,তাদের জীবনের গুল্প।যার মধ্যে অন্যতম ভগিনী নিবেদিতা।পাহাড়ের লোকেরা রায় ভিলা বলতেই নিবেদিতার বাড়ি বোঝে। সত্যিই সিস্টার নিবেদিতার স্মৃতি বিজড়িত রায় ভিলা,যেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন ১৯১১সালের ১৩ ই অক্টোবর ৪৩ বছর বয়সে। বাড়িটির বয়স প্রায় ১১৫ বছর হবে।এই বাড়িটির মালিক ছিলেন দ্বারকানাথ রায়,যিনি সম্পর্কে প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রিন্সিপাল পি.কে.রায়ের দাদা।পরবর্তী সময়ে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু তার বন্ধু দ্বারকানাথ রায়ের থেকে এই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন,গ্রীষ্মকালীন আবাসন হিসাবে।তিনি ও তার স্ত্রী অবলা বসু নিজের হাতে সাজিয়েছিলেন বাড়িটিকে।সিস্টার নিবেদিতার শরীর ক্রমশ খারাপ হতে থাকলে বিজ্ঞানী ও তাঁর পত্নী নিবেদিতাকে দার্জিলিঙের এই রায় ভিলায় এসে থাকার আমন্ত্রণ জানান,পাহাড়ের পরিবেশে তার শরীরের উন্নতি হবে নিশ্চিত সেই আশায়।ভগিনী নিবেদিতা সেই

Rani Rashmoni Ghat Halisahar | Fuchka Gram | Dayouting Near Ganges | Weekend Tours Near Kolkata

ছবি
  এ যেনো অবিকল দক্ষিণেশ্বর মন্দির গঙ্গা নদীর সন্নিহিত খোলামেলা গ্রাম্য পরিবেশে গড়ে তোলা এই মন্দিরের সাথে যুক্ত আছে রাণী রাসমণি দেবীর যোগসূত্র। জড়িয়ে আছে ওনার শৈশব স্মৃতি।এটিই ছিলো ওনার জন্মস্থান। ১৭৯৩ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া সংলগ্ন তৎকালীন কোণা গ্রামে তার জন্ম হয়েছিল। তাঁরই নামানুসারে হালিশহর ও কাঁচরাপাড়ার মাঝামাঝি বাগমোড়ের অনতিদূরে অবস্থিত এই রাণী রাসমণি ঘাট ও মা কালীর মন্দির । এই ঘাটেই ছিল রাসমণি দেবীর নিত্য যাতায়াত ও স্নান। মন্দির লাগোয়া আছে আরো কয়েকটি শিব মন্দির ও বেলুড় মঠের আদলের আরো একটি মন্দির।  ১ লা জানুয়ারি কল্পতরু মেলায় এখানে হাজির হন হাজার হাজার মানুষ। মন্দিরে নিত্য পুজো , সন্ধ্যারতি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া আছে দুপুরে ভোগ প্রসাদের সব ব্যাবস্থা।  এর সাথে উপরি পাওনা থাকছে গঙ্গাবক্ষে নৌকায় ভ্রমন ও ফেরার পথে ফুচকা গ্রাম ঘুরে দেখা। ফুচকা প্রেমীদের জন্য এর চেয়ে সুখবর কি বা হতে পারে। ফুচকার যে এতো রকমের প্রকারভেদ হতে পারে তা এখানে না এলে আপনি জানতেও পারবেন না। যেমন ধরুন চিকেন, চিংড়ি, মাছ, আইসক্রিম, চকোলেট,দই বা মাটন ফুচকা। অবাক লাগছে অবশ্যই। এটুকু বল

Chandni Jaltungi Burdwan | Budget Village Resort Near Kolkata | Weekend Destination | Cheap Tour

ছবি
আমরা বেড়াতে ভালোবাসি। এতদিনে যারা আমাকে চিনেছেন সেটা বুঝেই গেছেন নিশ্চই। আর সেই বেড়ানোয় যদি থাকে ইতিহাসের ছোঁয়া তাহলে সেই খুশির মাত্রা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কৌশিক ছবি তুলতে আর আমি ইতিহাস খুঁজতে মাঝে মাঝেই বেরিয়ে পড়ি এদিক ওদিক। ছবিগুলো দেখে ত্রিপুরার নীর মহল বা রাজস্থানের কথা মনে হচ্ছে নিশ্চই! তবে এবার বেশি দূরে নয় ঘুরে এলাম পূর্ব বর্ধমানের দিগনগর গ্রাম থেকে ওনাদের আমন্ত্রণে নতুন এই জায়গাটিকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। বর্ধমান মানেই ইতিহাস ছড়িয়ে ছিটিয়ে। আর এই ইতিহাস রচনা করেছিলেন কীর্তিচাঁদ রায়।জগৎরামের মৃত্যুর পর তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র কীর্তিচাঁদ রায় উত্তরাধিকার সূত্রে বর্ধমানের জমিদারি লাভ করেন।সাহসী ও কূটবুদ্ধি সম্পন্ন কীর্তি চাঁদের সঙ্গে মুর্শিদকুলী খাঁরও বিশেষ সৌহার্দ্য ছিল। পিতার মৃত্যুর প্রায় এক বছরের মধ্যেই সম্রাট ঔরঙ্গজেবের দেওয়া অস্থায়ী সনদ অনুযায়ী তিনি ছিলেন ৪১ মহলের জমিদার ও চৌধুরাই খেতাব প্রাপ্ত। সিন্ধপ্রদেশের রাজকন্যা রাজরাজেশ্বরী দেবীর সাথে কীর্তিচাঁদের বিবাহ হয়।রাণীমা বঙ্গ দেশে আসার পর তাঁর সিন্ধপ্রদেশের সাথে কোনোকিছুই এ বঙ্গের মিল পেতেন না।মনমরা রাণীকে খুশ

চকদীঘি বাগানবাটি | Chakdighi Baganbati | Chakdighi Rajbari | Day Tour | Shooting Locations

ছবি
এই সেই চকদীঘি বাগানবাটি। বাড়িটা আপনাদের অনেকেরই পরিচিত সিনেমাসূত্রে।নিখিলেশ বিমলা অর্থাৎ সত্যজিৎ রায় পরিচালিত 'ঘরে বাইরে' পুরো শুটিংই এই বাড়ি জুড়ে। চকদিঘী রাজবাড়িও বলে থাকে কেউ কেউ। নিছক বাগানবাটি ভাবলে ভুল ভাবা হবে।এই বাড়ির সাথে যুক্ত আছে বিদ্যাসাগর,লর্ড কার্জন,সত্যজিৎ রায়,সলমন রুশদি সহ বহু মহান ব্যাক্তিত্বের স্মৃতি।বাড়িটির গঠন তাক লাগায় নিশ্চিত।তাই হয়তো সত্যজিৎ রায়ের এই বাড়িই পছন্দ হয়েছিল।সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় হোক বা বর্তমানের দেব অভিনীত 'গোলন্দাজ' বা 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি' তে মুস্কান জেভিরির বাড়ি বা 'তানসেনের তানপুরা'। চারিদিকে গাছগাছলা পরিবেষ্টিত প্রকান্ড মাঠের মধ্যে প্রাসাদসম এই বাড়ি দাঁড়িয়ে।৬টি প্রকান্ড করনিথিয়ান স্তম্ভযুক্ত এই বৈঠকখানাটি বানানো হয়েছিল ফরাসি স্থপতি দ্বারা।বাড়িটির সামনে প্রকাণ্ড গাড়ি বারান্দা। বাড়িটির সামনে প্রকাণ্ড মাঠের মধ্যে সেই অষ্টভূজাকৃতি ফোয়ারাটি যা আজ আর প্রাণোচ্ছল নয় বরং বর্তমানে গোল করে সেই ফোয়ারাকে ঘিরে বিকেল বেলার স্থানীয়দের গোল বৈঠকের জায়গা বা ঘুরতে যাওয়া দর্শকদের ছবি তোলা বা আ

Dasghara Jamidar Bari | Hooghly Heritage | Bonedi Barir Durga Puja | Terracotta Temple | 1 Day Tour | Shooting Location

ছবি
ঐতিহাসিক দশঘরাতে একদিন  হুগলি জেলার তারকেশ্বরের অদূরেই এই দশঘরা।রাজ্যের ইতিহাসে যা টেরাকোটা মন্দিরের জন্য বিখ্যাত।শুধু তাই নয় ঐতিহাসিক প্রাচীন জনপদ এই দশঘরা। নামটা শুনলেই কেমন যেনো মোহর ভর্তি ঘড়ার কথা মনে পরে,তাই না? লোক মুখেও সে কথা ঘোরে।মোঘল আক্রমণ থেকে ঘড়া ঘড়া মোহর,ধনসম্পদ লুকানো হয়েছিল দীঘির ভিতর।সেই থেকে ডুব দিয়েছে কত লোকে সেই গুপ্তধনের সন্ধানে।এরকম গুপ্তধন খুঁজলে হয়তো অনেক জমিদারিতেই পাওয়া যেতে পারে।তবে পার্থিব ধণ সম্পদকে বাদ দিলে দশঘরা কিন্তু টেরাকোটা মন্দির তার জমিদার বাড়িগুলোর জৌলুসে অনেক ধনী সেই শুরু থেকে আজ অবধি। মন্দিরটির কারুকার্য দেখলে মুগ্ধ হবেন। এই গ্রামের সৌন্দর্য পরিচালকদের চোখ এড়ায় নি কোনোদিনই। তাই বাঞ্ছারামের বাগান হোক বা ঋতুপর্ণ ঘোষের বাড়িওয়ালি বা গোলন্দাজ, আরও অনেক আছে, মেগা সিরিয়াল গৌরী এলোর শুটিং সারা হয়েছিল এখানেই । আরো বহু সিনেমার সাক্ষী এই বাড়ি। এই সব প্রাচীন,বনেদী,ঐতিহাসিক জায়গায় ঘুরতে ভালোবাসার নেশায় ঘুরে এলাম দশঘরা থেকে।ভালো লাগলো যে আমার আশা বৃথা যায় নি।অপূর্ব সুন্দর পরিচর্যা বিশ্বাস বাড়ির,দীঘির স্বচ্ছ জলে যখন

Margaret's Deck Tea Lounge Kurseong | Cafe in Kurseong | Best Darjeeling Tea Lounge | Goodricke Tea

ছবি
বেঁচে থাকুক মার্গারেটের ভালোবাসা গরম পড়তেই পাহাড় যেন আমাদের মন টানে।তবে এখন শুধু  গরমের দিনেই নয়,ভ্রমনপ্রিয় মানুষ এখন বছরের সব সময়ই পাহাড়ে বেড়ায়।হাতে পরপর দুদিন ছুটি পেলেই ব্যাস! দার্জিলিং হোক বা কার্শিয়াঙ তার শীর্ষ তালিকায়। আর সেই কার্শিয়াঙ এই দার্জিলিং যাবার পথে টুং রেলস্টেশনের কাছেই পাহাড়ের ধাপে রয়েছে ঝুলন্ত এক ক্যাফে ' মার্গারেট ডেক '। আসা যাবার পথে অনেকেই হয়তো দেখেছেন।  তবে আর পাঁচটা ক্যাফের থেকে এটা অনেকটাই আলাদা।কারণ এর সাথে যুক্ত আছে মার্গারেট ও তার ভালোবাসা।কিন্তু কে এই মার্গারেট? মার্গারেটকে জানতে ফিরে যেতে হবে ১৮৬২ তে।যখন এই চা বাগানের নাম মার্গারেট হোপ ছিল না।তৎকালীন চা বাগানের ইউরোপিয়ান ম্যানেজারের ছোট মেয়ে ছিল মার্গারেট।চা বাগানটি সে বড় ভালোবাসত।তার খেলা,শিশুমনের নানা কল্পনা সব ছিল এই চা বাগান কে ঘিরে।হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের সাথে তাকে পাঠানো হয় তার দেশ ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে।দেশে ফেরার পথে জাহাজেই তার মৃত্যু হয়।তার আর কোনোদিনও ফেরা হলো না সাধের চা বাগানে।মেয়েকে ও মেয়ের ভালোবাসাকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখতে পরবর্তীতে বাবা চা বাগানের নাম বদ

ঝর্ণা কলমে সুলেখা কালি | Sulekha Ink | Best Indian Fountain Pen Ink | Gift Item | Best Printing Ink | Good Handwriting

ছবি
  স্বাধীনতার লড়াইয়ে টিকে থাকা সুলেখা আজও গৌরবময় ও নস্টালজিক 'সুলেখা', আক্ষরিক অর্থে সুন্দর হস্তাক্ষর বোঝালেও এই নামের সাথে বাঙালির চেতনা,আত্ম সম্মান,অনেক ইতিহাস,হারানো গৌরব,স্বদেশী আন্দোলন মিলেমিশে একাকার।তাই এই কালির প্রসঙ্গ উঠলে বাঙালি নস্টালজিক না হয়ে পারে না।তবে কজনই বা জানে সেই নস্টালজিয়ার কথা? বর্তমান প্রজন্ম জানে কি?যাদবপুরের সুলেখার মোড়ের নাম আমরা কমবেশি জানি কিন্তু কেনো এই মোড়ের নাম এমন হলো সেটাও তো দীর্ঘ ইতিহাস। তখন স্বদেশী আন্দোলনের হাওয়া বইছিল সারা দেশ জুড়ে, বিদেশী দ্রব্য বর্জনের দাবীও উঠছে জায়গায় জায়গায়।সেই প্রেক্ষিতে চিঠিপত্র বা দরকারি কাজে বিদেশি ঝর্না কলমের ব্যাবহার সত্যিই লজ্জাজনক।উদ্যোগ নিতে এগিয়ে এলেন গান্ধীজি স্বয়ং।রাজশাহী থেকে ননীগোপাল মৈত্র ও শঙ্করাচার্য মৈত্র গান্ধীজির স্বদেশী শিল্প গড়ার ডাকে সাড়া দিলেন ভীষণভাবে।বিদেশি কালির সাথে টেক্কা দিতে পারে এমন কালি তৈরিতে ব্রতী হলে ভাতৃদ্বয়।আর এ কাজে সহায়তা করলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র।তিনি তাঁর সহকারী তথা বেঙ্গল কেমিক্যালসের চিফ কেমিস্ট ও মুক্তিযোদ্ধা সতীশ চন্দ্র সামন্তকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব দিলে

Popular Posts

Top 10 Rajbari near Kolkata-Zamindar Houses in Bengal-Heritage Home Stay-Dayout Plan-Weekend Tour

Chatu Babu Latu Babur Bari - Bonedi Barir Durga Puja

Bonedi Barir Durga Puja Parikrama-Hooghly Bonedi Barir Puja-Gramer Pujo-Jamidar Barir Pujo

Gobardanga Jamidar Bari-Prasannamoyee Kali Mandir-Gobardanga Kalibari